দশবারো জন পাদানিতে বাদুড়-ঝোলা ঝুলছিল মালিক কাজি রমেন গাজির বরাতখানা খুলছিল! ইন্দুমালি ফুলের ডালি নিয়ে মালা গাঁথছিল মদন বেনে গেল জেনে সোনায় কত খাদ ছিল! বাজার থেকে ফিরতি পথে ধপাস পড়ে আলুর দম– ছোটকাকা ভাঙলে ছাতা ছোটকাকির মেজাজ টং! ছোটকাকা মনের ব্যথা ক্রমে ক্রমে ভুলছিল দশবারো জন পাদানিতে বাদুড়-ঝোলা ঝুলছিল!
নদীর জলে চান ছিল রাখালিয়া গান ছিল কাকা, পিসিমনির কোলে এলানো শৈশব! হাতে হাতে ঘুড়ি ছিল কোঁচড়ভরা মুড়ি ছিল তেলেভাজার গন্ধে ছিল জমাটি উৎসব! লেখা ছিল পড়া ছিল স্কুলে শাসন কড়া ছিল নামতা পড়ার শব্দে পাড়ায় সামাল সামাল রব! গাছে গাছে পাখি ছিল দুর্গাপুজোয় ঢাকি ছিল পুজোর বন্ধে সকাল-সন্ধে বেজায় কলরব!
একুশ আমার মুখের ভাষা একুশ আমার গান একুশ আমার বুকের গর্ব একুশ অভিমান। একুশ আমার মায়ের আঁচল একুশ চোখের জল একুশ এলে বুঝতে পারি একুশ মনের বল।
খুড়োর যেমন খুড়ি থাকে বুড়োর থাকে বুড়ি, পাগলা আর পাগলি মিলে অদ্বিতীয় জুড়ি! পাগলা বলে, ‘আমিই বড়ো’, পাগলি বলে, ‘আমি’; পাগলা বলে, ‘আমার কথা সকল কথার দামি।’ পাগলি বলে, ‘তোমার আমার তফাত কিছু নাই, তুমিও বড়ো, আমিও বড়ো তাই তাই তাই!’
সরস্বতৈ নমঃ সরস্বতৈ নমঃ, ফুল দিলাম মিষ্টি দিলাম মুক্ত হস্তে মম। সরস্বতী মা গো– সবার তুমি মা গো, পথের শিশু তবে কেন বই-খাতা পায় নাগো?
হাসতে হাসতে চলে গেছেন অনেক অনেক দূরে, আবার যদি ভালোবেসে আসেন তিনি ঘুরে! ওঠেন যদি সিঁড়ি বেয়ে ‘ভালো-বাসা’-র ঘরে, আমাদের এই ভালোবাসার কলকাতা শহরে। সবার মিতা নবনীতা শ্রীমতি দেব সেন, তারার দেশে গিয়েও তিনি হেসেই চলেছেন!