দশবারো জন পাদানিতে বাদুড়-ঝোলা ঝুলছিল মালিক কাজি রমেন গাজির বরাতখানা খুলছিল! ইন্দুমালি ফুলের ডালি নিয়ে মালা গাঁথছিল মদন বেনে গেল জেনে সোনায় কত খাদ ছিল! বাজার থেকে ফিরতি পথে ধপাস পড়ে আলুর দম– ছোটকাকা ভাঙলে ছাতা ছোটকাকির মেজাজ টং! ছোটকাকা মনের ব্যথা ক্রমে ক্রমে ভুলছিল দশবারো জন পাদানিতে বাদুড়-ঝোলা ঝুলছিল!
খুড়োর যেমন খুড়ি থাকে বুড়োর থাকে বুড়ি, পাগলা আর পাগলি মিলে অদ্বিতীয় জুড়ি! পাগলা বলে, ‘আমিই বড়ো’, পাগলি বলে, ‘আমি’; পাগলা বলে, ‘আমার কথা সকল কথার দামি।’ পাগলি বলে, ‘তোমার আমার তফাত কিছু নাই, তুমিও বড়ো, আমিও বড়ো তাই তাই তাই!’
সরস্বতৈ নমঃ সরস্বতৈ নমঃ, ফুল দিলাম মিষ্টি দিলাম মুক্ত হস্তে মম। সরস্বতী মা গো– সবার তুমি মা গো, পথের শিশু তবে কেন বই-খাতা পায় নাগো?
ওর মাথাটা খারাপ, ঘরে বাঁধে ও মেরাপ। ও কি ভেঙেছে অনেক মই? না কি মেরেছে অনেক দই? না, না– পড়েছে অনেক বই বসে ভেজেছে অনেক খই– তাই মাথাটা খারাপ, ঘরে বাঁধে ও মেরাপ!
মন্দ কথা শুনতে খারাপ, বলতে তত মন্দ না! দোষ যদি হয় নিজের তরফ চোখ দুটো হয় বন্ধ না? পুত্রবধূ ভাঙলে হাঁড়ি হয় না সেটা ইয়ার্কি, কন্যা ভাঙে মাটির হাঁড়ি মূল্য আবার ইয়ার কী? নন্দ ঘোষে সবাই দোষে বাদবাকি সব গঙ্গাজল, দেশের এবং দশের কাজে সদাই হাজির সদলবল! মন্দ কথা শুনতে খারাপ, বলতে তত মন্দ না!
ডে বাই ডে দে ভাই দে, টাকা-কড়ি গয়না আর দেরি সয় না, দে ভাই দে! হাতি চাই, ঘোড়া চাই, বউ এক জোড়া চাই, বুড়িয়ে গেলাম প্রায় ডে বাই ডে, দে ভাই দে!
ভোগীরথের প্রার্থনা Read More »
সরপুঁটি ছিপ হাতে আসছিল ক্যাংলা, পথে এক ব্যাঙ ছিল নাম ছিল ব্যাংলা। ক্যাংলাটা জানত যে ব্যাংলাটা জাপানি, ভয়ে তার তক্ষুনি শুরু হল হাঁপানি। ব্যাংলার ভয় ছিল ক্যাংলাটা ‘তিবেটান’, ব্যাংলাকে না খেলেও বঁড়শিতে দিবে টান। ক্যাংলার লংজাম্প, ‘হাই’ মারে ব্যাংলা– ব্যাংলাটা ব্যাংলাই, ক্যাংলাটা ক্যাংলা!
সাঁঝবেলা দেখে ভোলা বুড়ো এক সাধুকে, ফিসফাস কত কথা বলে যায় দাদুকে। চুলদাড়ি পাকা তার, গোঁফখানা পাকানো, মিটমিটে দুই চোখে মধু যেন মাখানো। হাত নেড়ে বলে সাধু, ‘বৃথা হেথা থাকা রে, তার চেয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যানা পাহাড়ে। সুখ সেথা কাঁড়িকাঁড়ি, নেই কোনও চিন্তা, গলা ছেড়ে গান গেয়ে কেটে যাবে দিনটা।’ দাদু বলে, ‘যাব চলে,
মেঘরঙ দিয়ে রঙ যদি করো গোঁপ-দাড়ি আর চুল নির্ঘাত তবে প্রতিবেশীদেরও চিনতে হবেই ভুল। কৃত্রিম চুলে ঢেকে যদি দাও তোমার মস্ত টাক মৌপিয়াসীরা তোমার মাথায় খুঁজবেই মৌচাক। লাল রঙ দিয়ে রঙ যদি করো তোমার বেণির চুল বাহান্ন হবে এক কুড়ি বারো মন আবার বেআকুল! এফেক্ট বাড়াতে লাগালে মাথায় শিলে বেটে টোপা কুল উথালপাথাল দিলদরিয়ায় ফুটবেই
বুনো হাতি রাতারাতি হয়ে গেল পোষ্য দিনরাত খায় ভাত চর্ব্য ও চোষ্য। সকালে গরম চায়ে সের দুই তণ্ডুল যদি দেখে নেই পাতে করে সব ভণ্ডুল! খই চাই দই চাই চাই তার মদ্য খায় দায় গান গায় হেঁকে যায় পদ্য। রাম দাস চার মাস এই মতো চালিয়ে শেষটায় খালি গায় বনে যায় পালিয়ে!