ভণ্ডুল

সাঁঝবেলা দেখে ভোলা বুড়ো এক সাধুকে,
ফিসফাস কত কথা বলে যায় দাদুকে।
চুলদাড়ি পাকা তার, গোঁফখানা পাকানো,
মিটমিটে দুই চোখে মধু যেন মাখানো।
হাত নেড়ে বলে সাধু, 'বৃথা হেথা থাকা রে,
তার চেয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যানা পাহাড়ে।
সুখ সেথা কাঁড়িকাঁড়ি, নেই কোনও চিন্তা,
গলা ছেড়ে গান গেয়ে কেটে যাবে দিনটা।'
দাদু বলে, 'যাব চলে, তবে গোটা দশদিন 
রেডি হতে লেগে যাবে-- এটুকু সময় দিন।'
হেনকালে ঠানদিদি ঝাঁটা নিয়ে বগলে 
ঘরে ঢুকে বাবাজীকে পেয়ে যান নাগালে।
ঝপাঝপ গোটা দশ বাবাজীকে হাঁকাতে, 
ঠকঠক কাঁপে দাদু পরানটা বাঁচাতে!
গুনে গুনে আটবার বৈঠক করিয়ে
দাদুকে সময় দেন, নিজে নেন জিরিয়ে।
শেষটায় দাদুভাইয়ে শপথটা করালে,
'নেব নাকো সন্ন্যেস, যাই থাক কপালে!'

অলংকরণ : নীপা বন্দ্যোপাধ্যায়

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *