Poems

ছোটবেলা

নদীর জলে চান ছিল  রাখালিয়া গান ছিল  কাকা, পিসিমনির কোলে                          এলানো শৈশব! হাতে হাতে ঘুড়ি ছিল  কোঁচড়ভরা মুড়ি ছিল  তেলেভাজার গন্ধে ছিল                          জমাটি উৎসব! লেখা ছিল পড়া ছিল  স্কুলে শাসন কড়া ছিল  নামতা পড়ার শব্দে পাড়ায়                      সামাল সামাল রব! গাছে গাছে পাখি ছিল  দুর্গাপুজোয় ঢাকি ছিল  পুজোর বন্ধে সকাল-সন্ধে                         বেজায় কলরব!

ছোটবেলা Read More »

অমর একুশ

একুশ আমার মুখের ভাষা  একুশ আমার গান  একুশ আমার বুকের গর্ব একুশ অভিমান।  একুশ আমার মায়ের আঁচল  একুশ চোখের জল  একুশ এলে বুঝতে পারি  একুশ মনের বল।

অমর একুশ Read More »

মানুষ বলে

মানুষ বলে, ‘চাঁদের দেশে যাব।’ চাঁদ বলে, ‘আমি তারার দেশে যাই।’ মানুষ পথে চলে নিরন্তর  চলার পথের কোনও সীমা নাই। মানুষ বলে, ‘কথায় বাঁধি গান।’ পাখি বলে, ‘আমি কথা ছাড়াই গাই।’ পাখির কাছে সে গান শিখে নিয়ে  তারও অনেক গানের কথা নাই। মানুষ বলে, ‘ক্লান্ত শরীর, মন।’ নদী বলে, ‘ক্লান্তি কেন ভাই?’ দুপুর রোদে নদীতে

মানুষ বলে Read More »

দক্ষিণের বারান্দা

খোলা থাক। বাতাস আসুক। ফুলের সৌরভ যদি আসে, যদি মৌমাছির ঝাঁক এসে বসে জানালার পাশে– আরো ভালো হয়! চলে যাব মন যেদিকে চায়;  সত্যি, মন যেদিকে যেতে চায়। অনাবিল শৈশব এসে অকস্মাৎ হানা দিক প্রৌঢ় চেতনায়; হৈ হৈ রৈ রৈ করতে করতে  পুরানো বন্ধুদের সঙ্গে অনাবিল আড্ডা ! খোলা থাক, খোলা থাক দক্ষিণের বারান্দা!

দক্ষিণের বারান্দা Read More »

তুমি আসবে বলে

তুমি আসবে বলে  যত্নে সেজেছে আমার ভিতর বাড়ি তুমি আসবে বলে  দিনের সূর্য  পাটে যায় তাড়াতাড়ি। তুমি আসবে বলে  ভোর থেকে রোজ  প্রতিটা মিনিট গোনা তুমি আসবে বলে  মিষ্টি মধুর কত সঙ্গীত শোনা ! তুমি আসবে বলে  বসনে আমার  বসানো জরির কাজ তুমি আসবে বলে  কাজে মন নেই  সব ভুলে গেছি আজ। তুমি আসবে বলে 

তুমি আসবে বলে Read More »

মারাদোনা

আগ্রাসী তুমি ফুটবল আঙিনায়  অভিমানী তুমি নিজের দরদালানে  কমিটেড থাকা সেটাও তোমার দায়  দেশবাসী জানে ওই কথাটার মানে। ফুটবলে তুমি স্বপ্নের সদাগর  স্বপে তোমার মানুষের জয়গান  চির জাগরুক অতীতের কুঁড়েঘর রক্তে তোমার চে গেভারা তোলে বান। ফিদেল কাস্ত্রো সজোরে দিলেন নাড়া  কোনোদিন সেটা করোনি অস্বীকার  চেতনার ডাকে সতত দিয়েছ সাড়া  লাল সূর্যটা তোমার অঙ্গীকার।  ফুটবলে

মারাদোনা Read More »

রাজা ও কবি

রাজা বললেন, ‘তফাৎ যাও,’   ভাঁড় বলল, ‘কত দূর?’     রাজা বললেন,‘চোখের আড়াল,’    ভাঁড় বলল, ’তথাস্তু!’    রাজা বললেন, ‘কবি,    দু-চোখ বাঁধো জোরে,’   কবি বললেন, ‘চোখ বাঁধলে  দেখব কেমন করে?’    রাজা বললেন, ‘কবি  প্রিয়ং শুধু বদ,  খাও-দাও আর নাচা করো  থাকো বশংবদ।‘  (এই রাজাটার মন্দ বরাত  তেমন কবি দেখেননি,  তাঁর সভাসদ কবিরা কেউ  সত্যি কথা লেখেননি।)  রাজা বললেন,

রাজা ও কবি Read More »

ভাবছি বসে

ভাবছি বসে অনেক কাল–  কাদের বাড়ি ঢালাই করা কাদের কাঁচা বাড়ির মাথায়  বসত করে খড়ের চাল! কাদের বাড়ির দেওয়াল জুড়ে রামধনু রঙ হাসতে থাকে, কাদের বাড়ির দেওয়াল ভেঙে  বর্ষা এলেই ভাসতে থাকে! কাদের বাড়ির কোলাপসিবল  গেটের তালা সেভেন লিভার,  কাদের বাড়ির দরজাতে নেই  লোহার কুলুপ রাত্রে দেবার! কাদের বাড়ির খানাপিনায়  তেল মশলা মিষ্টি ঝাল, কাদের

ভাবছি বসে Read More »

উত্তরাধিকার

মা বলতেন, বাবা সংসারের কোনো কাজই  করেন না;         শুধু চাকরি আর বাজার ছাড়া।   এই কথা শুনতে শুনতে আমরা বড়ো হয়েছি।  আমরা ভাইবোনেরাও ভাবতাম— বাবা কোনও কাজের নন!  মা একা-হাতে রাঁধেন-বাড়েন   টুকিটাকি আরো কত কী কাজে  মা ব্যস্ত সারাদিন। বাবা অফিস থেকে ফিরে বইয়ে ডুবে যেতেন।  মা বলতেন, ‘এত কী পড়ার আছে;   তোমার তো আর পরীক্ষা

উত্তরাধিকার Read More »