(কবি বাবুষা কোহলীর একটি হিন্দি কবিতার ইংরেজি অনুবাদ থেকে)
সম্পূর্ণ সুস্থ শরীর ও মনে আজ আমার শেষ ইচ্ছার বয়ান লিখছি.... আমার মৃত্যুর পরে আমার ঘরটাকে তোমরা তছনছ করে দিও খোলা বাড়ির সর্বত্র ছড়িয়ে-থাকা প্রতিটা জিনিস তোমরা তন্নতন্ন করে খুঁজো। আমার স্বপ্ন বিলিয়ে দিও সেই নারীদের-- যাঁরা রান্নাঘর ও শোওয়ার ঘরের পরিসরে তাঁদের পৃথিবীটাকে হারিয়ে ফেলে বহুদিন আগেই স্বপ্ন দেখার কথা ভুলে গেছেন। আমার অট্টহাসি বৃদ্ধাশ্রমের বয়স্ক আবাসিকদের মুখে ছড়িয়ে দিও এঁদের সন্তানেরা আমেরিকার ঝলমলে শহরে হারিয়ে গেছে। আমার টেবিলে-রাখা রং দিয়ে সেই মেয়েটার শাড়ি রং করে দিও-- যার শাড়ির পাড়ে ওর স্বামীর রক্তের দাগ লেগে আছে বেচারি মেয়েটার স্বামী গতকাল সন্ধ্যা থেকে ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকায় আচ্ছাদিত হয়ে চিরনিদ্রায় শুয়ে আছে। আমার চোখের জল কবিদের বিলিয়ে দিও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আমার অশ্রুর প্রতিটি বিন্দুতে এক একটা কবিতার জন্ম হবে। আমার সম্মান ও সুনাম সেই মেয়েগুলোর ভাগে রেখো-- যাঁরা তাঁদের মেয়েদের শিক্ষার জন্য নিজেদের শরীর বিক্রি করতে বাধ্য হন। আমার ক্রোধমিশ্রিত যন্ত্রণা অল্পবয়সী তরুণ-তরুণীদের দিও ওদের এটার দরকার দেশে বিপ্লব আনার জন্য। আমার উচ্ছ্বাস বিলিয়ে দিও সেই সুফিদের, যাঁরা ঈশ্বরের খোঁজ করার জন্য জীবনের সর্বস্ব ত্যাগ করেছেন। পরিশেষে পড়ে থাকা আমার ঈর্ষা লোভ রাগ মিথ্যা ও স্বার্থপরতাকে আমার দেহের সঙ্গে পুড়িয়ে দিও।