November 2020

ওই যে আসে

এক কুড়ি দশ মানে কত– প্রশ্নটা তার বুকের কাছে  ছড়িয়ে যায় খইয়ের মতো  শিউলি এবং টগর গাছে। শিউলি হাসে টগর হাসে– দিগ-বালিকার বুকের কাছে এক কুড়ি দশ মানে কত  প্রশ্ন হয়ে ঝুলেই আছে। আমরা যারা রোজ প্রভাতে– শিউলি কুড়াই টগর কুড়াই  দিগ-বালিকা ওই যে আসে চলো দেখে চক্ষু জুড়াই।

ওই যে আসে Read More »

আছে প্রত্যয়

যারা গর্তে ঢোকার তারা গর্তে ঢুকে যাক যারা বেরিয়ে আসার তারা ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসুক।  যারা মূক ও বধির তারা  মুখ বন্ধ করে রাখুক  যারা মুখর হতে চায় তারা আজ চিৎকার করুক। যারা জন্মভীতু তারা  দরজায় খিল তুলে দিক যারা প্রত্যয়ী তারা  রাস্তায় বেরিয়ে পড়ুক। সামনে রাঙা পলাশের বন সামনে উথালপাথাল ঝড়  যাদের সাহস আছে

আছে প্রত্যয় Read More »

বৃথা কষ্ট

দিনদুপুরে মত্ত হয়ে ভাঙল জগার পা, কিন্তু জগা আদৌ তাতে করলো নাকো গা! মিসেস জগা তৃষ্ণা পেতে চাইল জলের গ্লাস, জলের খোঁজে জগা সটান ছুটল পানিত্রাস। পানিত্রাসের পাকুড়গাছে পেঁচার জোড়া নাতি, দিনেমানেই ভজনগানে কাঁপায় ভিটেমাটি; দাসবাবুদের দালানজুড়ে জমাট বাউলমেলা, মাচার ওপর সারা বাংলা চু কিত্ কিত্ খেলা— এসব ব্যাপার দেখে জগার চক্ষু চড়কগাছ, জলের পরিবর্তে কিনে

বৃথা কষ্ট Read More »

জলছবি

এক চিলতে নদীর উদরে  কাস্তে চাঁদ টেনে যায় বাঁকাচোরা দাগ আঁধারের বুক চিরে উড়ে যায় বাদুড়ের পাল বিড়ালের কাঁদুনিতে ভয়ের আভাস! চাঁদ ডুবে যেতে চায় জলে ঝিকিমিকি বাঁকাচোরা দাগগুলি ছবি হয়ে যায়;  ছবিতে তোমার মুখ– তুমি আমি বসে মুখোমুখি!

জলছবি Read More »

অনেক নতুন বন্ধু হোক

এক সময় ছিলেন সর্বক্ষণের রাজনৈতিক কর্মী। বহুদিন হল তিনি সর্বক্ষণের সাংস্কৃতিক সংগঠক। আবাল্য গান শুনতে শুনতে ও গাইতে গাইতে গান বাসা বেঁধে আছে তাঁর অস্তিত্বের সবখানে। আবার বাল্যকাল থেকেই নাটক দেখতে দেখতে এক সময় নিজেই অভিনেতা হয়ে গেছেন। তিনি গান লেখেন, ছড়া লেখেন, কবিতা লেখেন, কবিতা বলেন, নাটক লেখেন, ছোটগল্প লেখেন, গানে সুর দেন, নাটক

অনেক নতুন বন্ধু হোক Read More »

যেতে দাও

ছেড়ে দাও– চলে যাক                   যেদিকে যা যেতে চায় মিছে মোহ, মিছে বেঁধে রাখা তার চেয়ে ভালো এই চোখ মেলে থাকা  আকাশে তারারা হেসে কী কথা জানায় প্রতিপদী ক্ষীণ-কটি চাঁদ পলে পলে জ্যোৎস্না হতে চায় ভোরের দোয়েল পাখি শোনায় যে গান লাউগাছ জাগে সেই গানের আশ্বাসে  ঠাকুমার পাকা চুল ঠাকুরদার তামাকের ঘ্রাণ  সবকিছু বেঁচে থাকে ধরণীর

যেতে দাও Read More »

সবাই যদি

(উত্তরবঙ্গের বিশিষ্ট কবি ব্রততী ঘোষ রায় স্মরণে) সবাই যদি তোমার মতো হত মুক্তমনা উদার প্রকৃতির  শান্ত কোমল স্বভাবে সংযত  ধৈর্যপ্রবণ প্রাজ্ঞ এবং ধীর। সবার যদি থাকত তোমার মতো  উজাড় করা গভীর ভালোবাসা  সবাই যদি ঠিক তোমারই মতো সবার বুকে জাগিয়ে দিত আশা! তোমার গৃহে গুণীজনের ভিড়ে ‘প্রতিপক্ষ’১ পনেরো দিন বাদে  ছাত্ররা সব বিজিআর-কে ঘিরে  মেতে

সবাই যদি Read More »

জয় বাবা মিলটন

আজ থেকে সাড়ে তিন দশক আগে অমল, প্রদীপ, সুশীল ও আমাকে নিয়ে চার বন্ধুর একটা অন্তরঙ্গ দল ছিল। এই গ্যাং অফ ফোরে, একমাত্র আমিই ছিলাম গ্রাম থেকে আসা। বাকি তিনজন, যাকে বলে, কলকাতায় বর্ন অ্যান্ড ব্রট আপ্। অমল টালিগঞ্জ ও প্রদীপ গড়িয়াহাটের ছেলে। সুশীল বাগবাজারের ঝুনো নারকেল। কে জানে, ওদের সঙ্গে কী ভাবে ভিড়ে গিয়েছিলাম!

জয় বাবা মিলটন Read More »

মৃণাল সেন

মৃণাল সেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্র পরিচালক। ভুবন সোম, কলকাতা ৭১, পরশুরাম, এক দিন প্রতিদিন, আকালের সন্ধানে, মৃগয়া, প্রভৃতি তাঁর পরিচালিত উল্লেখযোগ্য সিনেমা। ২০১৮ সালে ৯৫ বছর বয়সে বার্ধক্যজনিত কারণে তাঁর মৃত্যু হয়। মাটির ওপর পা-দুখানি  আকাশ-ছোঁয়া মাথা– সারাজীবন শুনিয়ে গেলে মরণজয়ী গাথা! ‘নীল আকাশের নীচে’ তোমার  নীরব অভিজ্ঞান  নিজের মতে নিজের পথে  বিজয় অভিযান।  অটল

মৃণাল সেন Read More »