করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীতে একটা শব্দবন্ধ চালু হয়ে যায়। আমরা কোনও চিন্তাভাবনা না করেই সেই ইংরেজি শব্দবন্ধ ‘সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং’-এর বাংলা করে নিয়েছি ‘সামাজিক দূরত্ব’। কেউ কেউ অবশ্য তখনই বলেছিলেন, ‘সামাজিক দূরত্ব’-র পরিবর্তে ‘শারীরিক দূরত্ব’ বলা হোক। কিন্তু কে শোনে কার কথা! আমরা ‘সামাজিক দূরত্ব’-এই অটল থাকলাম।
অত্যন্ত ছোঁয়াচে হওয়ার কারণে, করোনা সংক্রমণ এড়াতে পারস্পরিক দূরত্ব (বিশেষজ্ঞদের মতে ছ’-ফুট) বজায় রাখা, প্রয়োজনে বাইরে বেরোলে মাস্ক দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখা ও ঘনঘন সাবান দিয়ে হাত ধোওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। কোভিড-১৯ একটি নতুন রোগ। এখন পর্যন্ত এই রোগের কোনও ওষুধ নেই। সংক্রমণের সংখ্যা খুব বেশি বলে মৃত্যুহার অপেক্ষাকৃত কম হওয়া সত্ত্বেও এই রোগে প্রচুর মানুষ মারা যাচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (‘হু’)-র মতো সংগঠনের কর্তাব্যক্তিরাও এই রোগ সম্পর্কে একেক সময় একেক রকম কথা বলছেন। ফলে, সাধারণ মানুষ রীতিমতো বিভ্রান্ত!
এই আবহে ‘সামাজিক দূরত্ব’ (শারীরিক দূরত্ব নয়) আমাদের দেশে এক অসহনীয় দুর্দশার কারণ হয়ে উঠল। লোকে মাস্ক ব্যবহার করুক আর নাই করুক, রাস্তায় বেরিয়ে ইয়ারবন্ধুদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় শারীরিক দূরত্ব মেনে চলুক আর নাই চলুক (এটা দেখা গেছে, কিছু মানুষের মাস্ক ব্যবহারে ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখায় সাঙ্ঘাতিক অনীহা!), কিছু মানুষ অদ্ভুত আচরণ করতে লাগলেন। এই অদ্ভুত আচরণের প্রথম ঢেউটা আছড়ে পড়ল ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপরে। এঁরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা রোগীদের সেবা করছেন, সে কথা বেমালুম ভুলে গিয়ে এঁদের প্রতি কিছু মানুষ নির্দয় হয়ে উঠলেন। এঁরা করোনা রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন, সেই কারণে এঁদের কাউকে কাউকে তাঁদের নিজেদের বাড়ি বা ফ্ল্যাটে আসতে বাধা দেওয়া হল।
কোনো কোনো জায়গায় করোনা রোগীর পরিবারকে পাড়াপ্রতিবেশীদের বয়কট করার খবর পাওয়া গেছে। করোনা রোগীকে রোগীর নিজের ফ্ল্যাটে/বাড়িতে হোম আইসোলেশনে থাকতে দিতে কোনো কোনো প্রতিবেশীর প্রবল আপত্তি! বাধ্য হয়ে রোগীকে, সরকারি হাসপাতালে বেড না পেলে, ঋণধার করে প্রচুর টাকার বিনিময়ে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে। এক সময় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন রোগী। ডাক্তারের পরামর্শ মেনে রোগীকে ওই সময় চোদ্দো দিন আইসোলেশনে থাকতে হয়। প্রতিবেশীদের ‘ইচ্ছায়’ এই আইসোলেশনের মেয়াদ বেড়ে কোথাও তিরিশ, কোথাও চল্লিশ দিন হয়ে যাচ্ছে।
সব দেখেশুনে মনে হয়, অবস্থা তেমন না হলে, অনেকে করোনা টেস্ট এড়িয়ে যেতে চাইছেন। করোনার লক্ষণের সঙ্গে মিল আছে এমন কোনো লক্ষণ দেখা দিলে, সেটা সবার কাছে গোপন রাখছেন। গোপন রাখছেন সামাজিক বয়কটের আশঙ্কায়। একটা বেসরকারি ল্যাবের জুলাই-অগাস্টে করা সমীক্ষা অনুযায়ী কলকাতার ২৬% ও এই রাজ্যের ২৩% লোকের শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। এর অর্থ, কলকাতার ২৬% ও রাজ্যের ২৩% লোকের শরীরে করোনা ভাইরাস ঢুকেছে (টাইমস অব ইন্ডিয়া (অনলাইন) সেপ্টেম্বর 0৮, ২০২০)। আইসিএমআর-এর ‘সেরো’ সমীক্ষা (রক্তের নমুনা পরীক্ষা)-র রিপোর্ট অনুযায়ী, মে মাসে সারা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬৪ লক্ষ। যদিও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, ওই একই সময়ে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭০ হাজারের কম (আনন্দবাজার পত্রিকা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২০)। প্রকৃত আক্রান্ত ও চিহ্ণিত আক্রান্তের সংখ্যার এই বিপুল ফারাকের মধ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে পরীক্ষা এড়ানো আক্রান্তের সংখ্যা বার করা মুশকিল। তবে সংখ্যাটা খুব কম না হওয়াই সম্ভব।
করোনা ভাইরাস বিদেশ থেকে উড়োজাহাজে করে আমাদের দেশে উড়ে এসেছে। এ বছরের গোড়ার দিকে প্রায় তিন মাস ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে থাকা প্রচুর ভারতীয় দেশে ফিরেছেন। এঁরা অনেকেই নিজেদের শরীরে করোনা ভাইরাস বহন করে এনেছেন। ওই সময়, এঁদের বিমানবন্দর থেকে বাড়ি যেতে না দিয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চোদ্দো দিন আইসোলেশনে রাখলে করোনার সংক্রমণ হয়তো কম হত।
মার্চ মাসে হঠাৎ করে লকডাউন ঘোষণা হতে ভিন রাজ্যে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকেরা ঘোরতর সমস্যায় পড়েন। একদিকে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এঁরা উপার্জনহীন হয়ে পড়েন, অন্যদিকে যে ছাদের তলায় তাঁরা একসঙ্গে অনেকে মিলে গাদাগাদি করে থাকতেন, সেই ছাদের মালিক জায়গা ছেড়ে দিতে বলায় তাঁরা আশ্রয়হীন হয়ে পড়েন। লকডাউনের জন্য পরিবহণও বন্ধ, ফলে তাঁদের দিশেহারা অবস্থা তখন! বাধ্য হয়ে বাক্সপ্যাঁটরা ও বাচ্চাদের ঘাড়ে নিয়ে এঁদের পায়ে হেঁটে বাড়ি ফেরার মরিয়া চেষ্টা চালাতে হয়। এরকম পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে চাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের একটি দল ট্রেন বন্ধ বলে রেল লাইন বরাবর হাঁটছিলেন। পরিশ্রান্ত হয়ে রাতে রেললাইনের ওপর ঘুমিয়ে পড়লে মালবাহী ট্রেন এসে এঁদের পিষে দিয়ে যায়। নানা জায়গায় পুলিশের হাতে পিটুনি খেয়েছেন অসংখ্য পরিযায়ী শ্রমিক। একটা সময়, সরকার থেকে এঁদের জন্য বাস ও ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়। গাদাগাদি করে এঁদের বাসে তোলা হয়। কোথাও বা এঁদের গায়ে বিষাক্ত কেমিক্যাল স্প্রে করা হয়। অসহ্য কষ্ট ও লাঞ্ছনা সহ্য করে হেঁটে, বাসে বা ট্রেনে নিজের নিজের রাজ্যে পৌঁছে রাজ্য সরকারের দেওয়া বাসে নিজেদের জেলায় ফেরেন। শেষে নিজের গ্রামে, মহল্লায় পৌঁছে স্কুলবাড়িতে বা গাছের তলায় চোদ্দো দিন থেকে তারপর নিজের পরিবারে ফিরে যান।
টোটাল লকডাউন চলার সময় মে মাসের গোড়ায় মদের দোকান খুলে দেওয়া হয়। এই মদের দোকান এই সময় থেকে এই সময় পর্যন্ত খোলা থাকবে বলে কাগজে খবর বেরোল। বলা হল, মাস্ক পরে অন্য জনের সঙ্গে ছ’-ফুট দূরত্বে দাঁড়িয়ে মদ কিনতে হবে। দোকান খুলতে যা হল তা কহতব্য নয়। কোথায় শৃঙ্খলাবদ্ধ লাইন! কোথায় ছ’-ফুটের শারীরিক দূরত্ব! এক জন আর একজনের ঘাড়ের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে কাউন্টারের সামনে পৌঁছানোর জন্য তৃষ্ণার্তরা দুর্মর চেষ্টা চালালেন!
করোনার জন্য অন্য রোগের চিকিৎসা করানো এখন দুরূহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক ডাক্তারই এখন রোগী দেখছেন না। ফলে ডাক্তারের আকাল। করোনা সংক্রমণের ভয়ে এমারজেন্সি না হলে হাসপাতাল, ক্লিনিকে গিয়ে ডাক্তার দেখাতে ও টেস্ট করাতে চাইছেন না কেউ। লকডাউন চলাকালীন এমারজেন্সিতেও চিকিৎসা করানো খুব মুশকিলের ব্যাপার ছিল। ইদানিং এমারজেন্সিতে ডাক্তার পেলেও পছন্দের ডাক্তার পাওয়া প্রায় অসম্ভব।
এই ক’-মাসে কত লোক কাজ হারিয়েছেন তার ঠিকঠিকানা নেই। মাস মাইনের সরকারি কর্মচারী ও রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রের কর্মচারীরা মাইনে পেয়ে যাচ্ছেন। কোথাও কোথাও হয়তো কম মাইনে দেওয়া হচ্ছে। বেসরকারি ক্ষেত্রে ওয়ার্ক ফ্রম হোম-এর কোনও বাঁধাধরা সময় থাকছে না। সকাল থেকে রাত ন-টা দশটা পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে।
মাস মাইনের কর্মচারীদের বাইরে, দিন আনা দিন খাওয়া খেটেখাওয়া মানুষ, ছোট দোকানদার, হকার, স্বনিযুক্ত নানা পেশার লোকজন, নির্মানকর্মী, গৃহসহায়ক/সহায়িকা, অফলাইন প্রাইভেট টিউটর ও অন্যান্য অসংখ্য পেশার সঙ্গে যুক্ত কোটি কোটি মানুষ অবর্ণনীয় দুর্দশার মধ্যে রয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গে স্কুল, কলেজ এখনো খোলেনি। তবে ইউজিসি কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে অনড় মনোভাব দেখালেন। সর্বোচ্চ আদালতের রায়েও বলা হল, চূড়ান্ত সেমিস্টারের পরীক্ষা নিতেই হবে। ছাত্রছাত্রীরা, বিশেষত অন্য রাজ্যে পড়তে যাওয়া ছাত্রছাত্রীরা, খুব কঠিন অবস্থায় পড়ল। করোনার জন্য এক সময় ওরা বাধ্য হয়ে বাড়িতে চলে এসেছিল। পরীক্ষার জন্য আবার তাদের অনেককে (যাদের অফলাইনে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে) পড়াশোনার জায়গায় ফিরে যেতে হল। এই পর্বটা তাদের পক্ষে খুব সহজ হয়নি। ট্রেন না চলায় উড়োজাহাজই একমাত্র ভরসা। অনেক ছাত্রছাত্রী ও তাদের মা-বাবা টাকা জোগাড় করতে হিমশিম খেলেন। এখানেই শেষ নয়। তারা যে জায়গায় থাকত সেই থাকার জায়গা ছেড়ে দিয়ে বাড়ি এসেছিল। এখন ফিরে গিয়ে সেই জায়গা অনেকেই আর পায়নি। বাধ্য হয়ে অনেককে হোটেলে থেকে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। তার জন্য অনেক বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে।
আমাদের রাজ্যের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অক্টোবর মাসের গোড়ায় পরীক্ষা শুরু হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনলাইনে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে আপলোড করা প্রশ্নপত্র পরীক্ষার্থীরা ডাউনলোড করে বাড়িতে বসে খাতায় উত্তর লিখে উত্তরপত্র স্ক্যান করে অনলাইনে উত্তরপত্র জমা দিয়েছে। পরীক্ষকেরা অনলাইনে খাতা দেখেছেন। যারা অনলাইনে অভ্যস্ত নয়, তারা কলেজে এসে প্রশ্নপত্র নিয়েছে ও উত্তরপত্র জমা দিয়েছে। যেখানে নেট পরিষেবা খুব দুর্বল ও দুর্লভ, সেখানকার পরীক্ষার্থীদেরও কলেজে এসে প্রশ্নপত্র নেওয়ার ও উত্তরপত্র জমা দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। উত্তরপত্র ও প্রশ্নপত্র দেওয়ানেওয়া করতে এসে কেউ যে করোনায় আক্রান্ত হয়নি, তা কে বলত পারে!
পারস্পরিক ছ’-ফুট দূরত্ব মেনে চলার সময়কালে স্কুল-কলেজ খুললে শারীরিক দূরত্ব কী ভাবে মেনে চলা যাবে? স্কুল-কলেজে প্রচুর ছাত্রছাত্রী। স্কুল-কলেজ চত্বরে ও ক্লাসরুমে পারস্পরিক ছ’-ফুট দূরত্ব মেনে চলার কোনও উপায় নেই। তাই স্কুল-কলেজ এখন না খুললেই ভালো। কিন্তু, খবর পাওয়া যাচ্ছে, আগামী ডিসেম্বর মাসে পশ্চিমবঙ্গের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলবে।
অনেক উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার সঙ্গে শারদোৎসবের মরশুম অতিক্রান্ত হল। আগে মনে হয়েছিল, কলকাতাসহ এরাজ্যে এবার নামমাত্র পুজো হবে। বাস্তবে সর্বত্র ধুমধামের সঙ্গে পুজোর প্রস্তুতি দেখা গেল। কলকাতা হাইকোর্টে তাই নিয়ে মামলা হল। মাননীয় বিচারপতিরা সেই মামলার রায় দিতে গিয়ে বললেন, সমস্ত পুজোর প্যান্ডেলকে ‘নো এন্ট্রি জোন’ ঘোষণা করতে হবে। আদালতের নির্দেশে কোনও দর্শনার্থী প্যান্ডেলে ঢুকতে পারবেন না। ছোট প্যান্ডেল ও বড়ো প্যান্ডেলের যথাক্রমে পাঁচ মিটার ও দশ মিটার দূরত্বে চারদিকে ব্যারিকেড বানিয়ে ‘নো এন্ট্রি’ বোর্ড লাগাতে হবে। দেখা গেল, এবার অন্য বছরের তুলনায় কম মানুষ প্রতিমা দেখতে বেরিয়েছেন। তবুও পুজোতে ভিড় খুব কম হয়নি। আদালতের নির্দেশ কোথায় কতটা পালিত হয়েছে তা বলা মুশকিল! ওনাম উৎসবে ভিড়ের পরে কেরলে করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। কেরলের অভিজ্ঞতা থেকে, বিশেষজ্ঞরা দুর্গাপুজোর ভিড় থেকে এরাজ্যেও করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করছেন!
কিছু এক্সপ্রেস ট্রেন আগে চলতে শুরু করলেও লোকাল ট্রেন দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। ক-দিন হল এরাজ্যে লোকাল ট্রেন চলাচলও শুরু হয়েছে। পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ব্যস্ত সময়ে তাঁরা বেশির ভাগ (৮৪%) লোকাল ট্রেন চালাচ্ছেন। ধীরেধীরে চলবে অন্যান্য সব যানবাহন। সব রকমের দোকানপাট খুলে যাবে একদিন। পারস্পরিক ছ’-ফুট দূরত্ব বজায় রাখা অসম্ভব জেনেও বহু মানুষের একত্র সমাবেশ শুরু হবে। সামনের বছর আমাদের রাজ্যে ভোট। ভোটের ঋতু এলে মিটিং-মিছিল হবে। হবে ছোটবড়ো বহু সভা-সমাবেশ। পারস্পরিক ছ’-ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারটা হয়তো একদিন অতীতের ব্যাপার হয়ে যাবে। তারপরেও ‘সামাজিক দূরত্ব’ কি কমবে, না থেকেই যাবে?
করোনা নিয়ে এই লেখকের কয়েকটি ছড়া পড়তে ক্লিক করুন।