2020

দক্ষিণের বারান্দা

খোলা থাক। বাতাস আসুক। ফুলের সৌরভ যদি আসে, যদি মৌমাছির ঝাঁক এসে বসে জানালার পাশে– আরো ভালো হয়! চলে যাব মন যেদিকে চায়;  সত্যি, মন যেদিকে যেতে চায়। অনাবিল শৈশব এসে অকস্মাৎ হানা দিক প্রৌঢ় চেতনায়; হৈ হৈ রৈ রৈ করতে করতে  পুরানো বন্ধুদের সঙ্গে অনাবিল আড্ডা ! খোলা থাক, খোলা থাক দক্ষিণের বারান্দা!

দক্ষিণের বারান্দা Read More »

তাই তাই তাই

তাই তাই তাই  ওগো দাদাভাই  মধুবনে ওড়ে মুড়কি  তালগাছে চড়ে  যত একানড়ে বানায় তালের গুড় কি? আগানে বাগানে  সকলেই জানে পারাবত মানে পায়রা দুয়ে দুয়ে চার  হবে নাকো আর  গুল মারে যদি ভায়রা! নিউটন স্যার  লিখেছেন তাঁর  যত আধুনিক তত্ত্ব–   বহুকাল আগে ছিল এই বাগে পাখিদের করায়ত্ত!  যাবতীয় ভেদ  সবই নির্বেদ  মধুবনে ওড়ে মুড়কি  সকালে

তাই তাই তাই Read More »

উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে

অন্যের লেখাকে নিজের নামে চালালে তাকে কুম্ভীলকবৃত্তি (ইংরেজিতে plagiarism) বলে। একজনের লেখা অন্য আরেকজনের নামে তৃতীয় কেউ চালিয়ে দিলে তাকে কি বলা হবে ? করোনা ভাইরাসের উৎপাত শুরু হওয়ার পরে, “শঙ্খচিল” (‘আমাদের দেখা হোক মহামারী শেষে,/আমাদের দেখা হোক জিতে ফিরে এসে।’) নামের একটা কবিতা হোয়াটস্অ্যাপে জীবনানন্দ দাশের নামে ভাইরাল হয়। দেখেই বোঝা  যায়, ওটা জীবনানন্দের

উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে Read More »

মনগাঁ লোকাল

(শ্রী দেবাশীষ বসুর একটি হোয়াটসঅ্যাপ পোস্ট পড়ে) গরম কড়ায় ঢেলে সাঁতলে নিয়ে তেলে চায়ের লিকার খেলে মনগাঁ লোকাল চড়ে  পরের দিনের ভোরে পৌঁছে যাবে শেষে উল্টোরাজার দেশে। উল্টোরাজার দেশে উল্টোরানি এসে  যেই দিয়েছে কেশে  রাজবদ্যি এসে  চোখের জলে ভেসে বলল, “চাপা কোডিভ ছিল  তাই গিয়েছে টেঁসে!”

মনগাঁ লোকাল Read More »

করোনা

(করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পরে সামাজিক মাধ্যমে করোনা নিয়ে অনেক কবিতা প্রচারিত হয়েছে। এটি হোয়াটসঅ্যাপ-এ প্রচারিত এক অজ্ঞাতনামা কবির একটি ইংরেজি কবিতার অনুবাদ।) আমি জীবনে কখনো এরকম  তালগোল পাকানো অবস্থা দেখিনি। বাতাস এখন দূষণমুক্ত  কিন্তু মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। রাস্তা এখন ফাঁকা কিন্তু গাড়ি হাঁকিয়ে দূরবর্তী  জায়গায় যাওয়া নিষেধ। সবার হাত এখন পরিষ্কার  কিন্তু করমর্দন করা

করোনা Read More »

তোমার মৃত্যুর আর দেরি নেই

 (এই কবিতাটি সামাজিক মাধ্যমে পাবলো নেরুদা-র নামে প্রচারিত হলেও , এটি তাঁর কবিতা নয়। কবিতাটি ব্রাজিলের মার্থা মেডিয়র্স ( Martha Medeiors) নামক জনৈকা কবির লেখা। ) যদি তুমি বাইরে বেরিয়ে না পড়ো যদি তুমি না পড়ো কোনো বই  যদি তুমি জীবনের শব্দ না শোনো  যদি তুমি নিজের কাজের মূল্যই না দাও  তবে তোমার মৃত্যুর আর

তোমার মৃত্যুর আর দেরি নেই Read More »

ভূত

বলো দেখি সবে এই ফাঁকে–  কোথায় ভূতের বাস থাকে, দিনের আলোতে সকলই ফর্সা  শুধু রাতেই কি ভূত নাচে? নিরাকার না কি হয় সাকার?  আছে মোটমাট কয় প্রকার? ঘুমায় না কি সে ঘুম ছাড়া? ঘুমালে কি তার নাক ডাকে? তারা কি দৃশ্য না কি তা নয়?  লুকিয়ে তারা কি করে প্রণয়? তাদেরও কি হয় ভুল বোঝাবুঝি?

ভূত Read More »

আমার শেষ ইচ্ছা

(কবি বাবুষা কোহলীর একটি হিন্দি কবিতার ইংরেজি অনুবাদ থেকে) সম্পূর্ণ সুস্থ শরীর ও মনে আজ  আমার শেষ ইচ্ছার বয়ান লিখছি…. আমার মৃত্যুর পরে আমার ঘরটাকে তোমরা তছনছ করে দিও   খোলা বাড়ির সর্বত্র ছড়িয়ে-থাকা  প্রতিটা জিনিস তোমরা  তন্নতন্ন করে খুঁজো। আমার স্বপ্ন বিলিয়ে দিও সেই নারীদের– যাঁরা  রান্নাঘর ও শোওয়ার ঘরের পরিসরে  তাঁদের পৃথিবীটাকে হারিয়ে ফেলে

আমার শেষ ইচ্ছা Read More »

তুমি আসবে বলে

তুমি আসবে বলে  যত্নে সেজেছে আমার ভিতর বাড়ি তুমি আসবে বলে  দিনের সূর্য  পাটে যায় তাড়াতাড়ি। তুমি আসবে বলে  ভোর থেকে রোজ  প্রতিটা মিনিট গোনা তুমি আসবে বলে  মিষ্টি মধুর কত সঙ্গীত শোনা ! তুমি আসবে বলে  বসনে আমার  বসানো জরির কাজ তুমি আসবে বলে  কাজে মন নেই  সব ভুলে গেছি আজ। তুমি আসবে বলে 

তুমি আসবে বলে Read More »

মারাদোনা

আগ্রাসী তুমি ফুটবল আঙিনায়  অভিমানী তুমি নিজের দরদালানে  কমিটেড থাকা সেটাও তোমার দায়  দেশবাসী জানে ওই কথাটার মানে। ফুটবলে তুমি স্বপ্নের সদাগর  স্বপে তোমার মানুষের জয়গান  চির জাগরুক অতীতের কুঁড়েঘর রক্তে তোমার চে গেভারা তোলে বান। ফিদেল কাস্ত্রো সজোরে দিলেন নাড়া  কোনোদিন সেটা করোনি অস্বীকার  চেতনার ডাকে সতত দিয়েছ সাড়া  লাল সূর্যটা তোমার অঙ্গীকার।  ফুটবলে

মারাদোনা Read More »