2020

সব পেয়েছির দেশে

সব পেয়েছির দেশে  পৌঁছে গেলাম শেষে; ‘শুধু চাঁদের আলোটি নেই’– বলল কাজি হেসে! আতার গাছে আতা আছে  ঝালর দেওয়া ছাতা আছে  রুপো আছে সোনা আছে হিরে-মোতির দানা আছে সাতমহলা বাড়ি আছে  চালক আছে গাড়ি আছে অগুন্তি দাসদাসী আছে বচন রাশি রাশি আছে; ‘শুধু মনে সোয়াস্তি নেই’– বলল কাজি হেসে! হাতি আছে ঘোড়া আছে  ছাগলভেড়ার জোড়া […]

সব পেয়েছির দেশে Read More »

রাজা ও কবি

রাজা বললেন, ‘তফাৎ যাও,’   ভাঁড় বলল, ‘কত দূর?’     রাজা বললেন,‘চোখের আড়াল,’    ভাঁড় বলল, ’তথাস্তু!’    রাজা বললেন, ‘কবি,    দু-চোখ বাঁধো জোরে,’   কবি বললেন, ‘চোখ বাঁধলে  দেখব কেমন করে?’    রাজা বললেন, ‘কবি  প্রিয়ং শুধু বদ,  খাও-দাও আর নাচা করো  থাকো বশংবদ।‘  (এই রাজাটার মন্দ বরাত  তেমন কবি দেখেননি,  তাঁর সভাসদ কবিরা কেউ  সত্যি কথা লেখেননি।)  রাজা বললেন,

রাজা ও কবি Read More »

কবি ভবতোষ শতপথী

কবি ভবতোষ শতপথী পশ্চিমবঙ্গের আঞ্চলিক বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ কবি। এখন আঞ্চলিক ভাষায় অনেকেই কবিতা লিখছেন। আঞ্চলিক ভাষার কবিতার পাঠক ও শ্রোতাও এখন দুর্লভ নন। কিন্তু ভবতোষদা যখন আঞ্চলিক ভাষায় কবিতা লেখা শুরু করেন, তখন আঞ্চলিক ভাষার কবিতার লোকমান্যতা বলতে যা বোঝায় তা ছিল না। সেদিক থেকে ভবতোষদা পশ্চিমবঙ্গের আঞ্চলিক বাংলা কবিতার ভগীরথ। অন্যদিকে, প্রমিত বাংলা

কবি ভবতোষ শতপথী Read More »

ভাবছি বসে

ভাবছি বসে অনেক কাল–  কাদের বাড়ি ঢালাই করা কাদের কাঁচা বাড়ির মাথায়  বসত করে খড়ের চাল! কাদের বাড়ির দেওয়াল জুড়ে রামধনু রঙ হাসতে থাকে, কাদের বাড়ির দেওয়াল ভেঙে  বর্ষা এলেই ভাসতে থাকে! কাদের বাড়ির কোলাপসিবল  গেটের তালা সেভেন লিভার,  কাদের বাড়ির দরজাতে নেই  লোহার কুলুপ রাত্রে দেবার! কাদের বাড়ির খানাপিনায়  তেল মশলা মিষ্টি ঝাল, কাদের

ভাবছি বসে Read More »

উত্তরাধিকার

মা বলতেন, বাবা সংসারের কোনো কাজই  করেন না;         শুধু চাকরি আর বাজার ছাড়া।   এই কথা শুনতে শুনতে আমরা বড়ো হয়েছি।  আমরা ভাইবোনেরাও ভাবতাম— বাবা কোনও কাজের নন!  মা একা-হাতে রাঁধেন-বাড়েন   টুকিটাকি আরো কত কী কাজে  মা ব্যস্ত সারাদিন। বাবা অফিস থেকে ফিরে বইয়ে ডুবে যেতেন।  মা বলতেন, ‘এত কী পড়ার আছে;   তোমার তো আর পরীক্ষা

উত্তরাধিকার Read More »

আলো

তুমি বলেছিলে, ‘বর্ষায় বর্ষাতি জুতো পরা ভালো।’ বলেছিলে, ‘সাথে রেখো ছাতা।’ মেনেছি তোমার কথা আমি ঠিকঠাক; তবু দ্যাখো, বৃষ্টি-জলে ভিজে গেছে মাথা! তবুও তোমার কথা মেনে চলা ভালো; বৃষ্টির পরে রোদ– রৌদ্র মানেই সে তো আলো!

আলো Read More »

অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত

কেঁদে যায় পদ্মার দু-ধার

(কবি অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত-কে স্মরণ করে) বৃষ্টি পড়ার মতো তারারাও টুপটাপ ঝরে যান। ক্রমে ক্রমে পৃথিবী দরিদ্র হতে থাকে। আমাদের পাঁজর বেয়ে বোবা কান্না নামে; থেমে যায় যত্নে শেখা যাবতীয় বাক্যের নির্মাণ। বয়স হলেই যদি চলে যান বরিষ্ঠ কবিরা– হাত ধরে তবে কারা শেখাবেন কবিতার ভাষা! অলোকরঞ্জন কবি, জার্মানিতে নিপাট বাঙালি–  আমাদের দিয়েছেন জার্মান কবিতা থেকে

কেঁদে যায় পদ্মার দু-ধার Read More »

বকুলকথা

সময় হারিয়ে গেছে, তবু সেই সে বকুলগাছ আজও জেগে আছে। জেগে আছে দিগন্তপ্রসারী মাঠ, পিয়ালের বন–  যেখানে হারিয়েছিল মন। ফিরে গেলে ঠাঁই দেবে সেই তরুমূল, আঁচল উজাড় করে দেবে তার ফুল। চুলের সুবাসে ফের মাতোয়ারা মন– চারিদিকে পথঘাট বড়ো নির্জন!

বকুলকথা Read More »

অপুর সংসার

(কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রতি শ্রদ্ধা ) অপু তুমি কোথায় গেলে? খিদদা তুমি কই? আকাশ কেন থমকে আছে  নেই কেন হইচই! অপুর পায়ে যে পথ চলা সে তো অনেক দূর  ষাট বছরের অধিক সময় জীবন্ত ভরপুর।  সৌমিত্র কিংবা পুলু  কেশনগরের ছেলে পঁচাশিতে থামিয়ে হাঁটা  কাঁদিয়ে চলে গেলে!

অপুর সংসার Read More »

কোভিড-১৯, ‘সামাজিক দূরত্ব’ এবং

করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীতে একটা শব্দবন্ধ চালু হয়ে যায়। আমরা কোনও চিন্তাভাবনা না করেই সেই ইংরেজি শব্দবন্ধ ‘সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং’-এর বাংলা করে নিয়েছি ‘সামাজিক দূরত্ব’। কেউ কেউ অবশ্য তখনই বলেছিলেন, ‘সামাজিক দূরত্ব’-র পরিবর্তে ‘শারীরিক দূরত্ব’ বলা হোক। কিন্তু কে শোনে কার কথা! আমরা ‘সামাজিক দূরত্ব’-এই অটল থাকলাম। অত্যন্ত ছোঁয়াচে হওয়ার কারণে, করোনা সংক্রমণ

কোভিড-১৯, ‘সামাজিক দূরত্ব’ এবং Read More »