poem

তোমার মৃত্যুর আর দেরি নেই

 (এই কবিতাটি সামাজিক মাধ্যমে পাবলো নেরুদা-র নামে প্রচারিত হলেও , এটি তাঁর কবিতা নয়। কবিতাটি ব্রাজিলের মার্থা মেডিয়র্স ( Martha Medeiors) নামক জনৈকা কবির লেখা। ) যদি তুমি বাইরে বেরিয়ে না পড়ো যদি তুমি না পড়ো কোনো বই  যদি তুমি জীবনের শব্দ না শোনো  যদি তুমি নিজের কাজের মূল্যই না দাও  তবে তোমার মৃত্যুর আর […]

তোমার মৃত্যুর আর দেরি নেই Read More »

আমার শেষ ইচ্ছা

(কবি বাবুষা কোহলীর একটি হিন্দি কবিতার ইংরেজি অনুবাদ থেকে) সম্পূর্ণ সুস্থ শরীর ও মনে আজ  আমার শেষ ইচ্ছার বয়ান লিখছি…. আমার মৃত্যুর পরে আমার ঘরটাকে তোমরা তছনছ করে দিও   খোলা বাড়ির সর্বত্র ছড়িয়ে-থাকা  প্রতিটা জিনিস তোমরা  তন্নতন্ন করে খুঁজো। আমার স্বপ্ন বিলিয়ে দিও সেই নারীদের– যাঁরা  রান্নাঘর ও শোওয়ার ঘরের পরিসরে  তাঁদের পৃথিবীটাকে হারিয়ে ফেলে

আমার শেষ ইচ্ছা Read More »

তুমি আসবে বলে

তুমি আসবে বলে  যত্নে সেজেছে আমার ভিতর বাড়ি তুমি আসবে বলে  দিনের সূর্য  পাটে যায় তাড়াতাড়ি। তুমি আসবে বলে  ভোর থেকে রোজ  প্রতিটা মিনিট গোনা তুমি আসবে বলে  মিষ্টি মধুর কত সঙ্গীত শোনা ! তুমি আসবে বলে  বসনে আমার  বসানো জরির কাজ তুমি আসবে বলে  কাজে মন নেই  সব ভুলে গেছি আজ। তুমি আসবে বলে 

তুমি আসবে বলে Read More »

মারাদোনা

আগ্রাসী তুমি ফুটবল আঙিনায়  অভিমানী তুমি নিজের দরদালানে  কমিটেড থাকা সেটাও তোমার দায়  দেশবাসী জানে ওই কথাটার মানে। ফুটবলে তুমি স্বপ্নের সদাগর  স্বপে তোমার মানুষের জয়গান  চির জাগরুক অতীতের কুঁড়েঘর রক্তে তোমার চে গেভারা তোলে বান। ফিদেল কাস্ত্রো সজোরে দিলেন নাড়া  কোনোদিন সেটা করোনি অস্বীকার  চেতনার ডাকে সতত দিয়েছ সাড়া  লাল সূর্যটা তোমার অঙ্গীকার।  ফুটবলে

মারাদোনা Read More »

রাজা ও কবি

রাজা বললেন, ‘তফাৎ যাও,’   ভাঁড় বলল, ‘কত দূর?’     রাজা বললেন,‘চোখের আড়াল,’    ভাঁড় বলল, ’তথাস্তু!’    রাজা বললেন, ‘কবি,    দু-চোখ বাঁধো জোরে,’   কবি বললেন, ‘চোখ বাঁধলে  দেখব কেমন করে?’    রাজা বললেন, ‘কবি  প্রিয়ং শুধু বদ,  খাও-দাও আর নাচা করো  থাকো বশংবদ।‘  (এই রাজাটার মন্দ বরাত  তেমন কবি দেখেননি,  তাঁর সভাসদ কবিরা কেউ  সত্যি কথা লেখেননি।)  রাজা বললেন,

রাজা ও কবি Read More »

ভাবছি বসে

ভাবছি বসে অনেক কাল–  কাদের বাড়ি ঢালাই করা কাদের কাঁচা বাড়ির মাথায়  বসত করে খড়ের চাল! কাদের বাড়ির দেওয়াল জুড়ে রামধনু রঙ হাসতে থাকে, কাদের বাড়ির দেওয়াল ভেঙে  বর্ষা এলেই ভাসতে থাকে! কাদের বাড়ির কোলাপসিবল  গেটের তালা সেভেন লিভার,  কাদের বাড়ির দরজাতে নেই  লোহার কুলুপ রাত্রে দেবার! কাদের বাড়ির খানাপিনায়  তেল মশলা মিষ্টি ঝাল, কাদের

ভাবছি বসে Read More »

উত্তরাধিকার

মা বলতেন, বাবা সংসারের কোনো কাজই  করেন না;         শুধু চাকরি আর বাজার ছাড়া।   এই কথা শুনতে শুনতে আমরা বড়ো হয়েছি।  আমরা ভাইবোনেরাও ভাবতাম— বাবা কোনও কাজের নন!  মা একা-হাতে রাঁধেন-বাড়েন   টুকিটাকি আরো কত কী কাজে  মা ব্যস্ত সারাদিন। বাবা অফিস থেকে ফিরে বইয়ে ডুবে যেতেন।  মা বলতেন, ‘এত কী পড়ার আছে;   তোমার তো আর পরীক্ষা

উত্তরাধিকার Read More »

আলো

তুমি বলেছিলে, ‘বর্ষায় বর্ষাতি জুতো পরা ভালো।’ বলেছিলে, ‘সাথে রেখো ছাতা।’ মেনেছি তোমার কথা আমি ঠিকঠাক; তবু দ্যাখো, বৃষ্টি-জলে ভিজে গেছে মাথা! তবুও তোমার কথা মেনে চলা ভালো; বৃষ্টির পরে রোদ– রৌদ্র মানেই সে তো আলো!

আলো Read More »

অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত

কেঁদে যায় পদ্মার দু-ধার

(কবি অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত-কে স্মরণ করে) বৃষ্টি পড়ার মতো তারারাও টুপটাপ ঝরে যান। ক্রমে ক্রমে পৃথিবী দরিদ্র হতে থাকে। আমাদের পাঁজর বেয়ে বোবা কান্না নামে; থেমে যায় যত্নে শেখা যাবতীয় বাক্যের নির্মাণ। বয়স হলেই যদি চলে যান বরিষ্ঠ কবিরা– হাত ধরে তবে কারা শেখাবেন কবিতার ভাষা! অলোকরঞ্জন কবি, জার্মানিতে নিপাট বাঙালি–  আমাদের দিয়েছেন জার্মান কবিতা থেকে

কেঁদে যায় পদ্মার দু-ধার Read More »

বকুলকথা

সময় হারিয়ে গেছে, তবু সেই সে বকুলগাছ আজও জেগে আছে। জেগে আছে দিগন্তপ্রসারী মাঠ, পিয়ালের বন–  যেখানে হারিয়েছিল মন। ফিরে গেলে ঠাঁই দেবে সেই তরুমূল, আঁচল উজাড় করে দেবে তার ফুল। চুলের সুবাসে ফের মাতোয়ারা মন– চারিদিকে পথঘাট বড়ো নির্জন!

বকুলকথা Read More »